দৌলতপুরে নৌকায় চড়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ
দৌলতপুর প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আবেদের ঘাটে নৌকায় চড়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২রাউন্ড গুলি বর্ষণ হয়েছে। ১৪ জুলাই রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাটে হাতাহাতি ও গুলি বর্ষণের এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক ও উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদীপুর গ্রামের হানিফ আবেদের ঘাটে গিয়ে পদ্মা নদীতে নৌকা ভ্রমনের জন্য মুক্তার হোসেনের নৌকা ভাড়া করেন। হানিফের নেতৃত্বে ১০/১২ জন লোক নৌকায় উঠলে নৌকার মালিক মুক্তার হোসেন জনবল বেশী হওয়ায় নৌকা ডুবে যেতে পারে এমন আশংকায় নৌকা থেকে অতিরিক্ত লোকজনকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে মুক্তার হোসেন এবং হানিফের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিরও ঘটনা ঘটে। এসময় মুক্তার হোসেনের ভাগ্নে রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন। এ ঘটনায় হানিফ অপমানিত বোধ করে তার সন্ত্রাসী ছেলে সজল (২৮) কে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে সন্ত্রাসী সজলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে আবেদের ঘাটে গিয়ে রানা ও নৌকার মালিক মুক্তার হোসেনকে খুঁজতে থাকে এবং তাদের নাম উল্লেখ করে গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী সজল তার কাছে থাকা পিস্তুল বের করে পরপর ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। গুলির শব্দে আবেদের ঘাটে উপস্থিত লোকজনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা দ্বিকবিদ্বিক ছুটোছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও আতংকিত এলাকাবাসী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন। গুলি বর্ষণের ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, নৌকায় চড়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে গুলি বর্ষণের ঘটনা সঠিক কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।