কুষ্টিয়া মডেল থানায় লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
হিসনা বাণী প্রতিবেদক ॥ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেন সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে এ উপলক্ষে এক প্রেস বিফ্রিং এমন তথ্য নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়ায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান খোয়া যাওয়া অস্ত্রের অধিকাংশই উদ্ধার করা গেছে। ছাত্র জনতার সহায়তায় সেনা সদস্যরা এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। তিনি জানান কিছু অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে সেগুলো উদ্ধারে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং সহশ্রাধিক গোলাবারুদ রয়েছে।
ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলাম আরও বলেন, সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীকে অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তা করছে। তারা তথ্য দিচ্ছে, আবার অস্ত্র উদ্ধার করে জমা দিচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন স্থানে মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ নির্ভয়ে সেনাবাহিনীর কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রচার চালানো হয়।
প্রেসব্রিফিংয়ে কথা বলেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়েরও।
তিনি বলেন গত ৫আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের থানা মোড় ও তার আশপাশ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী তুমুল আন্দোলন চলছিল। দুপুরের পর একদল দুষ্কৃতিকারী থানার প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। থানার প্রায় সব আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়ে যায়। থানার মুল্যবান সব কাগজপত্র পুড়ে যায়। বেশ কয়েকটি গাড়িও জ্বালিয়ে দেয় তারা।
মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র, গুলি ও টিয়ার শেল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে
সেনাবাহিনী। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ধীরে ধীরে উদ্ধার হচ্ছে।’